জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ও বিকাশে ঐতিহাসিক “বাইতুল হিকমাহ্”-এর ভূমিকা : একটি পর্যালোচনা

Authors

  • ড. মুহাম্মদ আরিফুর রহমান

DOI:

https://doi.org/10.52805/bjit.v16i25.218

Keywords:

বায়তুল হিকমাহ, আব্বাসী যুগ, ইসলামী স্বর্ণ যুগ, গ্রন্থাগার, মানমন্দির

Abstract

সভ্যতার বিকাশ সাধনে বাগদাদের ঐতিহাসিক বায়তুল হিকমাহ্-এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের পর বিশ্বে ঐশি জ্ঞানের যে আলোক ধারা উৎসারিত হয়েছিল, বাগদাদের ঐতিহাসিক বায়তুল হিকমাহ্র মাধ্যমে তা বহুমাত্রিকরূপে বিকশিত হয়। মহানবী (সা.)-এর সময়কার মদীনার মসজিদে নববীতে জ্ঞান চর্চার যে সূত্রপাত হয়েছিল, তারই পথ ধরে ঐতিহাসিক বায়তুল হিকমাহ্ জ্ঞান চর্চার এক উর্বর চারণ ভূমিতে পরিণত হয়। আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশিদ (শাসনকাল ৭৮৬-৮০৯ খ্রি,) ‘বাইতুল হিকমাহ্’ (House of wisdom) প্রতিষ্ঠা করেন। তার সুযোগ্যপুত্র খলীফা আল মামুন (৮১৩- ৮৩৩ খ্রি.)- এর সময় এটি উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে। নবম শতকের মধ্যভাগে ‘বাইতুল হিকমাহ’ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গ্রন্থভান্ডার। এ বিশাল গ্রন্থকেন্দ্র ছিল একাধারে গ্রন্থাগার, অনুবাদকেন্দ্র, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং মানমন্দির সে সময়ে বায়তুল হিকমাহায় চর্চিত জ্ঞানের আলোক শিখা এশিয়া আফ্রিকা এবং মুসলিম স্পেন হয়ে ইউরোপের মাটিকে আলোকিত করে। এ সময়ে বায়তুল হিকমায় বসেই কবি-সাহিত্যক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, পন্ডিত চিত্রকর, দার্শনিক, ভ‚তত্ত¡বিদ, বণিক, পর্যটক প্রমুখ নিজ নিজ ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভ‚মিকা পালন করেন। এটিকে ইসলামী স্বর্ণযুগের প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আলোচ্য প্রবন্ধে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ও বিকাশে বাইতুল হিকমাহ্-এর ঐতিহাসিক ভ‚মিকা সম্পর্কে আলোচনা পেশ করা হলো।

Downloads

Published

2021-08-11

How to Cite

ড. মুহাম্মদ আরিফুর রহমান. (2021). জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ও বিকাশে ঐতিহাসিক “বাইতুল হিকমাহ্”-এর ভূমিকা : একটি পর্যালোচনা. Bangladesh Journal of Integrated Thoughts, 16(25). https://doi.org/10.52805/bjit.v16i25.218

Issue

Section

Original Articles