পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার কবিতার ধারা
DOI:
https://doi.org/10.52805/bjit.v18i1.275Keywords:
পার্বত্য চট্টগ্রাম, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, কবিতা, জীবনবোধ, ঐতিহ্যAbstract
বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অরণ্য ও পাহাড়ের সমবায়ে গড়ে উঠেছে। এখানে চলমান নগরায়নের ছোঁয়া লাগলেও অধিকাংশ ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী তাদের প্রকৃতিলালিত ঐতিহ্যবাহী ও পরম্পরাগত জীবনধারাকে বহন করে চলেছে আজও। ফলত এ জীবনের প্রতিভাস তাদের গীতিগুচ্ছ ও কবিতায় খুব স্বাভাবিক দাবিতেই অস্তিত্ববান। বলাবাহুল্য অস্তিত্বের এই সৌন্দর্য এখানকার প্রাকৃতিক বাস্তবতার অভিনড়ব প্রকাশক ও উদ্দীপক। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন মনোমুগ্ধকর, তেমনই সুন্দর এখানকার আধিবাসীদের ঐতিহ্যবহনকারী বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি, যার প্রভাব চিন্তনে ও মননে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের হৃদয় জুড়ে রয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে সে প্রভাব পার্বত্য চট্টগ্রামের সাহিত্যক্ষেত্রে, বিশেষত কবিতায় ছড়িয়ে রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতির লাবণ্যমাখা কবিতার সৌরভ বাংলাদেশের সাহিত্যের বৃহত্তর অঙ্গনের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন। সময়ের পরিμমায় কাব্যচর্চায় এ অঞ্চলের মানুষেরা বুনোফুলের মতো গোপনে কিংবা আড়ালে সৌরভ ছড়িয়েছে। ভিনড়ব ভিনড়ব ভাষার এগারোটি জাতিসত্তার মানুষ কবিতার ভাষায় নিজেদের প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছে সহজ-সরল জীবনবোধের পাঠ। এই সব জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে লালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ সংস্কৃতির উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর কবিতাপ্রেমী মানুষেরা খুঁজে পাবে ভালোলাগার নতুন ঠিকানা। পার্বত্য অঞ্চলের কবিদের আবেগ, অনুভূতি, ইচ্ছাগুলো বৃহত্তর পরিসরে উপস্থাপনের একটি প্রচেষ্টা বর্তমান নিবন্ধের অন্যতম উদ্দেশ্য।